দক্ষিণ কোরিয়ায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে হিউন্দাই মোটরের একটি বৈদ্যুতিক বাসে। কয়েক মাস আগেই একইভাবে আগুন লাগার ঘটনায় ব্যাটারি পরীক্ষার জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি ফেরত চেয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। চ্যাংওনের অগ্নি নির্বাপণ বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরীক্ষার পর খালি বাসটি গ্যারেজে ফিরছিলো।
বাসটির ব্যাটারি কোন প্রতিষ্ঠান বানিয়েছে, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। কিন্তু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ‘ইলেক সিটি’ বাসটির ব্যাটারি ছিলো এলজি কেমিক্যালস।
রয়টার্সকে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “যাচাইয়ের বিষয়ে মঙ্গলবার হিউন্দাই মোটর, পরিবহন মন্ত্রণালয়, কোরিয়া অটোমোবাইল টেস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ফায়ার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং চ্যাংওন অগ্নি নির্বাপন সদরদপ্তরের কর্মকর্তারা বৈঠক করবেন বলে অনুমান রয়েছে।”
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি হিউন্দাই মোটর বা এলজি এনার্জি সলিউশনের কোনো প্রতিষ্ঠানই।
হাই-ভোল্টেজ ব্যাটারি কোষের ত্রুটিপূর্ণ উৎপাদনের ফলে শর্ট সার্কিটের আশঙ্কার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ হাজার ৫৬৪টি ‘কনা’ ইলেকট্রিক গাড়ি ফেরত নিয়েছে হিউন্দাই।
কোনা বৈদ্যুতিক গাড়িতে আগুন লাগার পর গাড়িটি ফেরত নিয়ে সফটওয়্যার আপডেট করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর স্বেচ্ছায় গাড়ি ফেরত নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষ। এতে কিছু গাড়ির ব্যাটারি বদলে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।